
শ্রমজীবী নারী আমাদের সমাজের একটি সুস্পষ্ট পরিবর্তন হচ্ছে বাড়ির বাইরে কর্মজীবী মহিলাদের উপস্থিতি। আমাদের সমাজের মহিলারাও সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তারাও পুরুষের সাথে সাথে সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। হয়তো তাদের কাজগুলো সমাজের লোকের চোখে পড়ে না কিংবা তাদের কাজগুলো ঘরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তবে তারাও যথেষ্ট পরিমাণে কাজ করছে । তাদের কাজগুলো চোখে না পড়লেও। কিন্তু এটি অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে মহিলারা সবসময় পরিবারের কাজ করে আসছে কিন্তু এটিকে সাধারণভাবে কোনো কাজ হিসেবে গণ্য করা হয় না। দুর্ভাগ্যজনক যে কৃষিভিত্তিক সমাজ যেমন আমাদের গ্রামগুলোতে ফসল কাটার সময় মহিলাদের ভূমিকার কোন স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। কিন্তু এক্ষেত্রে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বর্তমান সময়ে নারীরা আর পিছিয়ে নেই। তারাও এখন ঘর থেকে বাহির হচ্ছে এবং বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করছে। তারা পিছিয়ে নেই পুরুষের থেকে কোন দিক থেকে । সবাই আত্মনির্ভরশীল হতে বিভিন্ন কাজকর্ম করছে এবং সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে।
তারা ধীরে ধীরে তাদের সংযুক্ত করছে বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে। অর্থনৈতিক প্রয়োজনীয় হোক বা ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশের তীব্র আকাঙ্ক্ষা থেকে হোক কিংবা কারণেই হোক আজকাল অনেক মহিলা বাইরের শ্রমশক্তিতে প্রবেশ করছে। তারা নানা ধরনের পেশায় যোগদান করছে তাছাড়া তারা শিক্ষিত শুধু সেই সমস্ত মহিলারাই নয় বরং স্বল্পশিক্ষিত বা কোন শিক্ষাই নেই এমন মহিলারা উপার্জন করতে আত্মনির্ভর হতে গৃহকোণ থেকে বেরিয়ে এসেছে। তাদের এই ইচ্ছাই হয়তো একদিন তাদের উন্নতির উচ্চ শিখরে নিয়ে যাবে। নারীরা আত্মনির্ভরশীল হওয়ার আগ্রহ দেখালেও কিংবা বাহিরের কোন কাজে যোগদান করলে ও সমাজের মানুষ তাদেরকে কখনো বড় করে দেখে না। নারীদের একসাথে দুটো কাজ সামলাতে হয় এক পরিবারের কাজ যেটাকে কেউ কখনো কাজ হিসেবে গণ্য করে না। আর দ্বিতীয়তঃ বাহিরের কাজ।
চুনারি যে কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত হোক না কেন তার ঘরের কাজের সাথে সাথে বাইরের কাজ সামলে নিতে হয়। তবুও নারীরা ধীরে ধীরে আত্মনির্ভরশীল হচ্ছে এবং অর্থ উপার্জন করছে নিজের আত্ম পরিচয় তৈরি করছে। অবশ্য এই ধারা এই বুঝেনা যে আজকাল নারীর জীবন সহজতর হয়েছে। বরং অনেক দিক থেকে এটি অধিকতর কষ্টসাধ্য হয়েছে কারণ এখনও নারীদেরকে স্ত্রী মা ও গৃহকর্তী হিসেবে তাদের প্রচলিত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।
তাই টিকে থাকার জন্য তাদের যোগ্যতা প্রমানের তাগিদে তাদের পুরুষে পুরুষদের সাথে প্রতিযোগিতা করে প্রায় দ্বিগুণ কাজ করে কাজ বেশি করতে হচ্ছে। তাও পরিশেষে এটাই বলা যায় যে নারীরা আমাদের এই সমাজেরএকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমাদের উচিত তাদের কাজকে যথাযথ সম্মান করা এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো তবেই আমাদের সমাজ সুন্দর হবে — শ্রমজীবী নারী