
বাংলাদেশ জনবহুল দেশ এবং এই দেশের জনসংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আয়তনের তুলনায় এ দেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি। আর এই বিশাল জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে আমরা সবসময়ই পরিবেশের উপর নানারকম ক্ষতিকর প্রভাব ফেলি। পরিবেশ নানাভাবে দূষিত হয় বিশাল এ জনসংখ্যার ফলে তাদের বসবাসের জন্য অনেক জায়গার প্রয়োজন হয় আর এই বসবাসের জায়গা তৈরি করতে আমরা নির্বিচারে বন উজাড় করে থাকি। আর গণহারে বন উজাড় করার কারণে আমাদের বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলছে ফলে মারা যাচ্ছে অনেক মানুষ।
আর ফলে পৃথিবীতে দেখা যাচ্ছে অক্সিজেনের সংকট।খুব দ্রুত যদি এই সমস্যার সমাধান না করা হয় তাহলে দেখা যাবে বিগত কয়েক শ বছর পর পৃথিবীতে অক্সিজেন সংকটে মানুষ সবই মারা পড়বে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে দিকে দেখা যায় যে মানুষ নানাভাবে তাদের পরিবেশকে দূষিত করছে।গ্রামগুলোতে দেখা যায় বেশিরভাগ জায়গায় আছে কাঁচা লেট্রিন।
ফলে মলমূত্র যেখানে সেখানে ছড়িয়ে পড়ে আর এর ফলে আমাদের পরিবেশ দূষিত হয়। তাই আমাদের উচিত গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়িতে পাকা লেট্রিন তৈরি করা। অনেক সময় শাকসবজি ও ফলমূল এগুলো গ্রামের মানুষ এখানে সেখানে ফেলে দেয়, যার ফলে পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হয়। শহরাঞ্চলে যে পরিবেশ দূষিত হয় না সেটা বলা ভুল হবে। কারণ শহর অঞ্চলের মানুষ অনেক ভাবে তাদের পরিবেশকে দূষিত করে।
যেমনঃ-কলকারখানার কালো ধোঁয়া বাতাসের সাথে মিশে বাতাসকে নানাভাবে দূষিত করছে। ফলে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলছে অন্যদিকে শহর অঞ্চলে শব্দদূষণ হয় প্রতিনিয়ত আর এর ফলে মানুষ কানে কম শুনে। আর দেখা যায় যে, প্রতিনিয়ত যদি এরকম পরিবেশ দূষিত হতে থাকে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকাই হবে দুষ্কর।তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই পরিবেশ দূষণ রোধ করতে হবে। কেননা যদি আমরা সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করি তাহলে পরে এর প্রভাব আমাদের উপর খুবই খারাপ ভাবে পড়বে।
প্রতিদিন নিজেদের অজান্তেই পরিবেশকে দূষিত করে থাকি। তাতে আমাদের কিছুই মনে হয়না। কিন্তু ” বিন্দু বিন্দু জল দিয়ে তো মহাসমুদ্র গঠিত হয়,ঠিক এমন ভাবে একদিন বিরাট আকার পরিবেশ দূষিত হয়ে যাবে” তাই আমাদের এখন থেকেই উচিত পরিবেশ দূষণ রোধে সচেতন থাকা। আর আমাদের দেশকে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা তাহলেই আমরা সবাই দেশের নাগরিক হিসেবে কর্তব্য পালন করতে পারব। পরিশেষে বলা যায় অধিক জনসংখ্যা বাংলাদেশের পরিবেশকে দূষণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।